ঈদ সংখ্যা২০২৩ : আনন্দপুর-নাসিম সাহনিক

আনন্দপুর
নাসিম সাহনিক
কলেজে এসেছে রুদ্র। ঢাকার মিরপুর থেকে। মিরপুর এক নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রথমে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলো একটি লোকাল বাসে।তারপর ঢাকা মানিকগঞ্জ রুটের একটি ডাইরেক্ট বাসে উঠলো। গন্তব্য মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বরঙগাইল বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে সিএনজি করে কলেজে যাবে।
কলেজে চলে এলো। বাজারের সাথেই কলেজ। কলেজ থেকে প্রিয় সহকর্মী শুভকে নিয়ে বাজারে এলো চা খেতে। ক্লাস নেয়ার আগে আপাতত শুভর সাথেই সময় কাঁটাবে রুদ্র।
রুদ্র : সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের যৌন নিপীড়ন নিয়ে যে রিপোর্ট দেখতেছি তা খুব পীড়া দিচ্ছে।
শুভ : শুধু শিক্ষক না। সমাজের নানাস্তরেই তো এই প্রব্লেম।
রুদ্র : হুমম। পেপার খুললেই নানারকম নিউজের সাথেই রয়েছে ধর্ষনের নিউজ। নারী পুরুষ সম্পর্কে প্রেমের উপরে কিছু নেই।
শুভ : সেই প্রেমকে গোছানো রুপ দিয়েছে বিয়ে। সেই বিয়েটাই তো করছেন না।
রুদ্র : করবো।
শুভ : কেন দেরী করছেন ?
রুদ্র : তোমার যেন কয়টা বাচ্চা ?
শুভ: এক ছেলে।
রুদ্র : গুছিয়ে নিয়েছো নিজেকে।
শুভ : তা বলতে পারেন।
রুদ্রের সহকর্মী শুভ কলামিস্ট। ছদ্মনামে বিভিন্ন পত্রিকায় লিখে থাকেন। বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি আর রাজনীতি নিয়ে তার ভীষণ আগ্রহ। যদিও পুরো উপমহাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি নিয়ে তিনি লিখে থাকেন। কিন্তু বাংলা তার সবচেয়ে প্রিয় টপিক। কিভাবে সংস্কৃত ভাষাকে ছাপিয়ে এই অঞ্চলে বাংলা ভাষার ডালপালা গজালো। তারপর প্রবাসীদের হাত ধরে কিভাবে বিশ্বব্যাপী এই বাংলা ছড়িয়ে গেল সেটাও মাঝে মাঝে সহকর্মী শুভর কাছ থেকে শুনে থাকে রুদ্র। শুভর এক ছেলে। ওর বউ শিক্ষকতা করে। রুদ্রের জন্য ঢাকাতে মানিকগঞ্জে উভয় এলাকাতেই শুভর মেয়ে দেখা এবং রুদ্রের তা প্রত্যাখ্যান করা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন এই বিষয়ে সাম্যাবস্থা বিরাজ করছে।
রুদ্র : আপনার কালকের লেখাটা পড়লাম। ভালো লেগেছে।
শুভ : কোনটা ? গতকালতো আমার দুটো লেখা ছাপা হয়েছে।
রুদ্র : আমি ওইটা পড়েছি। কিভাবে স্মার্টফোনের অপব্যবহার সব বৃদ্ধ থেকে কিশোর পর্যন্ত পুরুষদেরকে ধর্ষক বানাচ্ছে সেটা।
শুভ : আচ্ছা।
রুদ্র : আচ্ছা,সব পুরুষই কি ধর্ষক হয়ে উঠছে ?
শুভ : আরে না।
রুদ্র : তাহলে ?
শুভ : একটা গোষ্ঠী। পর্নোগ্রাফী আর মাদকে আসক্ত একটা গোষ্ঠী।
রুদ্র : হুমম। দেশে। এমনকি পুরো পৃথিবীতে এই ধরনের মানুষ দেখতে চাই না।
শুভ : আমিও। এই ধরনের মানুষ যাতে তৈরি না হয় সেজন্য সক্রিয়ভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।
পরদিন কলেজে আবার দেখা হলো রুদ্র আর শুভর। কলেজের টিচার্স রুমে বসেই দুজন কথা বলছিলো। কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করার পর আবার নিজেদের কথা শুরু করলো ওরা দুজন।
রুদ্র : ইদানিং প্রেমের উপন্যাস বেশ পড়া হচ্ছে।
শুভ : তাই নাকি ?
রুদ্র : হুমম।
শুভ : ফেসবুকে অনেক লেখক তাদের দর্শন। প্রেমের লাইন দিচ্ছে। সেগুলোও পড়ছি।
রুদ্র : আচ্ছা। অনেক তরুণ লেখক বেশ সক্রিয় দেখলাম।
শুভ : আচ্ছা বাদ দেন ..। কবে বিয়ে করছেন?
রুদ্র : জানাবো । দুশ্চিন্তা করো না।
শুভ : হা হা হা।
রুদ্র : কোই চা কোই?
শুভ : এই ভাই , চা বলেছি তো।
মাঝখানে চা দিয়ে গেল কর্মচারী।
রুদ্র : কলেজে এসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা খেতে । ব্রীজের পাশে গাছের নিচে দাঁড়াতে আর বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। খুব ইনজয় করি।
শুভ : কি আশ্চর্য্য আমারও এই বিষয়টা ভালো লাগে।
রুদ্র : কোনোরকম জটিলতায় জড়াতে ভালো লাগে না। কলেজের একে অপরের পেছনে লেগে থাকার বিষয়ে আমি নেই। আমার মনে হয় এগুলোতে জড়ালে আমি এখানকার প্রকৃতিটাকে নিশ্চিন্তে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারতাম না।
শুভ : হুমম।
রাতে কলেজের পাশে মেসের ছাদে কথা হলো দুজনের।
রুদ্র : ছাদ থেকে বাজারের আলো দেখতে ভালোই লাগে।
শুভ : ব্রীজের পাশটা দেখেন । অনেক সুন্দর।
রুদ্র : হুমম।
শুভ : শহর ছেড়ে এসে এই পরিবেশটা বেশ উপভোগ করি।
রুদ্র : আমিও বেশ উপভোগ করি।
পরদিন সকালে কলেজে ঢোকার আগে চায়ের দোকানে আবার আড্ডায় বসলো ওরা।
রুদ্র : এই এলাকার সবুজাভ বিষয়গুলো বেশ উপভোগ করছি। বাতাসটাও বেশ শীতল। গা টা জুড়িয়ে যায়।
শুভ : যেখানেই পোস্টিং হোকনা কেন এই এলাকার কথা ভুলবো না।
রুদ্র : আসলেই জায়গাটা মনে রাখার মতো।
শুভর কাছ থেকে গঙ্গাধারাই রাজ্যের কথা শুনে ইদানিং খুব পুরনো সময়টা মনে করতে ইচ্ছা করছে রুদ্রর। জাভা থেকে , ক্রিপুরা থেকে, তিব্বত থেকে , মধ্য এশিয়া থেকে মানুষেরা এসে আরিচা দৌলতদিয়া দিয়ে অবস্থান করছে। দুইপাশেই জঙ্গল আর মাঝখানে নদী। শুভ আর রুদ্র পুরনো সেইসময়কার অদ্ভুদ পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার হাতির পিঠে । একবার ঘোরার পিঠে। একবার ভেলায়। নদীতে সাঁতার কাঁটছে। অন্যরকম লাগলো যেন এই কল্পনা। রুদ্র ওর কল্পনাটা শুভর সাথে শেয়ার করলো। শুভ হাসতে হাসতে ওই সময়ের মানুষের প্রেমময় জীবন নিয়েও ভাবতে বললো রুদ্রকে।একদিন পাটুরিয়াতে পদ্মা পাড়ে বেড়াতে গিয়েও গঙ্গাধারাই রাজ্যের প্রেমময় জীবন নিয়ে দুজন আলাপ করতে লাগলো।
২.
বাসায় বাবা মার সাথে থাকে রুদ্র। একমাত্র ছেলে। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বোন থাকে ঢাকার বনানীতে। বাসা থেকে বিয়ের কথা বলা হচ্ছে। প্রভাষক হিসেবে রয়েছে। কিছুদিন পরে সহকারী অধ্যাপক হয়ে যেতে পারে। প্রমোশনের আগেই বিয়ে করা দরকার।
রুদ্র মায়ের সাথে কথা বলে মনে মনে ভাবলো এবার আর উপায় নেই। বিয়ে তাহলে করতেই হচ্ছে। শুভর সাথে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছা করে ওর। গল্প ,কবিতা পত্রিকায় দিবে কী না একবার বলেছিলো শুভকে। শুভ বলে কেন নয়। অবশ্যই দিবেন।
কলেজ এর পাশে শিক্ষকদের মেসের ছাদে সেদিন কথা চলছিলো। বাতাস উপভোগ করছে দুজনেই। দূরে নদী। গ্রাম। আর উপজেলার সবকিছু দেখছিলো রুদ্র আর শুভ।
রুদ্র : মানিকগঞ্জ সদর ফেলে এসে যখন এগুতে থাকি, তখন যে সবুজ প্রকৃতি চারপাশে দেখি তা দারুণ লাগে।
শুভ : আচ্ছা।
রুদ্র : বাতাসটাও বেশ শীতল। মনে হয় যেন পদ্মা নদী থেকে আর যমুনা নদী থেকে শীতল হাওয়া ছুড়ে দেয়া হচ্ছে।
শুভ : প্রকৃতিকে খুব উপভোগ করেন দেখছি। কবিতা টবিতা লেখেন নাকি।
রুদ্র : না সেভাবে লিখিনা। কবিতা প্রচুর পড়ি। তবে মাঝে মাঝে উপন্যাস লেখতে ইচ্ছা করে।
শুভ : আপনার মধ্যে লেখালেখির ব্যাপারটা আছে। চেষ্টা করে দেখেন।
রুদ্র : হা হা হা। ইতিহাস পড়তে বেশ উপভোগ করছি ইদানিং।
শুভ : ওয়াও।
রুদ্র : হ্যা। মাঝে মাঝে মনে হয় আরিচা পাড়ে শুয়ে আছি। সেই গঙ্গাধারাই কিংডমের সময়ে।
শুভ : মানে, যমুনা পাড়ে ?
রুদ্র : হুমম।
শুভ : ইন্টারেস্টিং। সেখানে কোনো রাজকন্যাকে দেখেন না।
রুদ্র : হা হা হা। মাঝে মাঝে দেখি। গঙ্গাধারাই রাজ্যের রাজকন্যা । হা হা হা। নদীতে আর আর সবুজ বনে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে সেই রাজকন্যা।
শুভ : ভালোই বলেছেন। আমিও তাহলে পদ্মাপাড়ে শুয়ে শুয়ে কল্পনা করবো ভাঙ্গা রাজ্যের রাজকন্যাকে।
রুদ্র : হা হা হা।
শুভ : যাই বলেন , সুলতানী আমলের বাংলাই আমাকে সবচেয়ে বেশি টানে।
রুদ্র : আচ্ছা ।
শুভ : হ্যা।
এরপর এক অদ্ভুদ ব্যাপার হলো রুদ্রের। সুলতানী আমলের বাংলার ইতিহাস পড়তে পড়তে মনে হতে লাগলো সে সুলতানী আমলের রাজসভার কবি। রাজকন্যা লুকিয়ে লুকিয়ে তার কবিতা শুনছে। এটা শুনে শুভ মজা করা শুরু করলো।
বাসায় গিয়ে মায়ের সাথে আবার কথা হলো রুদ্রর। মা মাগুরাতে বাড়ির কাজটা দেখাশুনা করতে বললেন। ওখানেও মেয়ে দেখার ব্যবস্থা করলেন। এই বছরে মা মোটামুটি বিয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাচ্ছেন তা তাঁর এই সকল প্রজেক্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালোমতোই। বাড়ির কাজটার ব্যাপারে বাড়িতে যাবে এটা মাকে আশ^স্ত করলো রুদ্র। আর বিয়ের বিষয়ে বেশি দেরী হবে না এটাও বললো সে।
৩.
মাহবুব স্যারের বাসা। মাহবুব স্যার রুদ্রকে অনুরোধ করেছে যেন তার বড় মেয়ে তাহসিন তাবাসুম সুমনাকে একটু ইতিহাস দেখিয়ে দেয়।
সুমনা একাদশ শ্রেনীতে পড়ে। ম্যাট্রিক দুইবার ফেল করেছে। ইংরেজিতে। রুদ্র পড়াবে ইতিহাস । রুদ্র স্যারকে কলেজে দেখেছে সুমনা। সুমনা গার্লস কলেজে পড়ে। গার্লস কলেজও বাজারের মধ্যে। এই উপজেলা দিনের বেলা ছাত্রছাত্রীতে ভরপুর থাকে। সন্ধ্যার পরে এদেরকে দেখা যায় না। সন্ধ্যার পরে কেউ কেউ প্রাইভেট পড়ে। সুমনা আজকে নতুন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়বে। ইংরেজি পড়বে। রুদ্রও আজকে যাবে পড়াতে। ইংরেজির স্যার মানিকগঞ্জ শহরের কলেজের শিক্ষক। উপজেলাতেও থাকেন, আবার শহরেও থাকেন। যেহেতু সুমনা ইংরেজিতে ফেল করেছে তাই ইংরেজির স্যারের গুরুত্ব বেশি। কিন্তু রুদ্রকে কোনোভাবে সেটা বুঝতে দেয়া যাবে না। কারণ রুদ্র মাহবুব স্যারের কলিগ।
সুমনা : আসসালামুআলাইকুম।
রুদ্র : ওলাইকুমআসসালাম। চেয়ারটা একটু সরিয়ে বসি।
সুমনা : অবশ্যই স্যার।
রুদ্র : তুমিতো ইংরেজি আর তোমার যেসব কঠিন বিষয় আছে সেগুলো পড়লেই পারতে। ইতিহাস পড়ার তো দরকার ছিলো না।
সুমনা : বাবা চাচ্ছেন আমি সব বিষয়েই ভালো করি।
রুদ্র : ফেল করে বসে আছো। পাস করাটাই তো মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
সুমনা : জ্বী ঠিক বলেছেন।
রুদ্র : সরি, তুমি কিছু মনে করলে না তো আবার?
সুমনা : না। আপনি তো সঠিক বলেছেন।
রুদ্র : সেটাই সত্যকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারলে ভালো।
সুমনা : আমি সহজভাবেই গ্রহণ করি। বাবা পারে না সহজভাবে গ্রহণ করতে। আমার উপর শুধু রাগ করে।
রুদ্র : হুমম।
সুমনা : আপনি কি আমাদের উপজেলাতেই থাকেন?
রুদ্র : হুমম।
সুমনা গোসল করে এসে বারান্দায় দাঁড়িয়েছে। এই সময়টায় বারান্দায় রোদ পোহাতে ওর দারুণ লাগে। পেয়ারা গাছটাতে একটা পাখি সুন্দর করে ডাকছে।
সুমনা : মা , আমি একটু পরে খাবো।
মা : ঠিক আছে। তোর বাবার জন্য একটু বেড়ে রাখিস।
সুমনা : আচ্ছা।
মা : ঠিকমতো ঢেকে রাখিস।
সুমনা : আরে চিন্তা কোরনা। আমি বড় হয়েছি না। কিভাবে গুছিয়ে কাজ করতে হয় আমি বুঝি।
মা : আমাকে রান্নায় তো একটু সাহায্য করতে পারিস।
সুমনা : পরীক্ষায় পাস করে নেই। তারপর সাহায্য করবো। আগে করেছি না।
মা : হ্যা। আগে তো সুন্দর রান্না করতি। তা এই ফেল করে বাদ দিলি কেন?
সুমনা : বাবার সম্মান রক্ষা করে নেই। তারপর আবার রান্না করবো।
কলেজে রুদ্রের সাথে মাহবুব স্যারের দেখা হলো। সুমনার বিষয়ে কথা বললেন মাহবুব স্যার।
মাহবুব : মেয়েটাকে পাস করাতে হবে ভাই। এলাকায় সম্মান নিয়ে টানাটানি পরেছে।
রুদ্র : আমি তো আর ইংরেজি পড়াচ্ছি না।
মাহবুব : পারলে ইংরেজিও একটু দেখিয়ে দিও। মোটকথা কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষায় পাস করে আসতে হবে সেই গাইড লাইন দিতে হবে ওকে।
রুদ্র : হুমম।
মাহবুব : টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা কোরনা। আর এটা আমার বলাও ঠিক হচ্ছে না।
রুদ্র : দেখি আপনার উপকার করতে পারলে আমার ভালো লাগবে।
মাহবুব : একটু দেখ ভাই।
রুদ্র : আচ্ছা। আমি একটু ক্লাসে যাচ্ছি।
মাহবুব : ও হ্যা। আমারও ক্লাস আছে। আজকে আসতেছো তো ?
রুদ্র : জ্বী।
মাহবুব : আমি আবার ওই সময় প্রাইভেট পড়াতে যাই। তোমার সাথে হয়তো দেখা হবে না।
রুদ্র : ও আচ্ছা।
চায়ের দোকানে শুভর সাথে রুদ্রের দেখা হলো।
রুদ্র : মাহবুব স্যারের মেয়েকে পড়াচ্ছি।
শুভ : কোন বিষয় ?
রুদ্র : ইতিহাস ।
শুভ : ইতিহাস ?
রুদ্র : হ্যা। আমি পড়াতে চাইনি। মাহবুব স্যারই অনেক রিকুয়েস্ট করলেন। যদিও চাকরি পাওয়ার আগে এক সময় ইংরেজি আর ম্যাথ পড়িয়েছি। তাও স্কুল পর্যায়ে। কলেজ পর্যায়ে শুধু ইংরেজিটা পড়িয়েছি।
শুভ : তাহলে ইংরেজি দেখিয়ে দিয়েন।
রুদ্র : দেখি নিজে থেকে আর বলবো না। পড়ানোর ইচ্ছা নেই।
শুভ : হুমম। কখন যাবেন আজ পড়াতে?
রুদ্র : সন্ধ্যা সাতটায়।
শুভ : ঠিক আছে। তাহলে বিকালে চা খাওয়া যাবে।
রুদ্র : আজ থাক আমার ডিপার্টমেন্টে একটু কাজ আছে। রাতে পড়ানো শেষ হলে মেসে আড্ডা দিব।
শুভ : আচ্ছা ঠিক আছে। আজকে যেহেতু উপজেলায় থাকবেন তাহলে রাতে আড্ডা দেয়া যাবে।
রুদ্র সময়মতো পড়াতে গেল সুমনাকে।
রুদ্র : কেমন আছো ?
সুমনা : ভালো আছি। আপনি?
রুদ্র : ভালো আছি। প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখেছো ?
সুমনা : সবগুলো লিখতে পারিনি।
রুদ্র : কেন ?
সুমনা : একটু ব্যস্ত ছিলাম স্যার।
রুদ্র : হুমম।
সুমনা : তবে লিখে ফেলবো স্যার।
রুদ্র : ওকে। নতুন কিছু পড়া দিচ্ছি।
সুমনা : স্যার একটা কথা জিজ্ঞেস করি ?
রুদ্র : কর ।
সুমনা : আপনার ফ্যামিলি কি ঢাকায় থাকে?
রুদ্র : ফ্যামিলি ? হুমম ঢাকায় থাকে।
সুমনা : আপনার বেবি আছে ?
রুদ্র : বেবি ? না।
সুমনা : ঠিক আছে। স্যার কি মাইন্ড করলেন ?
রুদ্র : না। ইটস ওকে।
সুমনা : বাবা বলছে এবার ফেল করলে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে।
রুদ্র : হুমম। তা তুমি তো শুধু ইংরেজি পড়লেই পারতে।
সুমনা : ইংরেজিতে ফেল করছি। আর অন্যান্য বিষয়ে পয়েন্ট খারাপ আসছে। ইতিহাসে খুব খারাপ ।
রুদ্র : হুমম।
এলিজা সুমনার বান্ধবী। সুমনার সাথে দেখা করতে এলো। সুমনার এলিজার সাথে পরিচয় সেই ছোটবেলা থেকে। কখনো ওদের মাঝে মনোমালিন্য হয় নি।
সুমনা : আমি প্রেমে পড়েছি।
এলিজা : সত্যি।
সুমনা : হুমম।
এলিজা : তোর পিছে যে ছেলেরা ঘুরে তাদের মধ্যে কে সৌভাগ্যবান ?
সুমনা : তাদের মধ্যে কেউ না।
এলিজা : তাহলে কে ? আমি চিনি ?
সুমনা : হয়তো।
এলিজা : হয়তো ?
সুমনা : হুমম।
এলিজা : আর ভনিতা করিস না। প্লীজ বল কে ?
সুমনা : রুদ্র স্যার।
এলিজা : রুদ্র স্যার ? মানে তোকে যে ইতিহাস পড়ানো শুরু করেছে সে?
সুমনা : হুমম।
এলিজা : সে না তোর বাবার কলিগ ?
সুমনা : এতে কোনো অসুবিধা নেই।
এলিজা : মানে কি ?
(সংক্ষেপিত)
প্রেমের হাওয়া- নাসিম সাহনিক
১.
যশোরের একটি কলেজ। কেমিস্ট্রি ল্যাব পরীক্ষার জন্য সরঞ্জাম সাজাচ্ছে পিয়ন রাজ্জাক। পরীক্ষা পরিচালনা করবে শুভ্র। শুভ্র কেমিস্ট্রির লেকচারার।
শুভ্রঃ কেমিক্যালস সব রেডি আছে?
রাজ্জাকঃ...
নিউট্রনিক জগৎ- নাসিম সাহনিক
রোবোসাইকোলজিস্ট লুসি আর নিউরোবায়োলজিস্ট কবীরের মধ্যে পরিচয় মাত্র দুদিনের। কিন্তু তারা পরস্পরের এতটা কাছাকাছি চলে এসেছে যে মনে হলো যেন অনেক দিনের পরিচয়।
লুসি : তোমার...
পাঠকদের জন্য অসাধারণ সব বই লিখেছেন আহমেদ ফরিদ
সুখপাঠ্য লেখা বলতে যা বোঝায় তা পাওয়া যায় আহমেদ ফরিদের লেখায়। পাঠকদের জন্য অসাধারণ সব বই লিখেছেন তিনি ।লেখক আহমেদ ফরিদ পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে। তিনি...
২৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৫ AMবইমেলায় বিকাশ পেমেন্টে ১০% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক
স্টাফ রিপোর্টার।
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বিকাশ পেমেন্টে ১০% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা। মেলা চলাকালে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা...
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৩০ AMঅমর একুশে বইমেলায় নাসিম সাহনিকের তিন সায়েন্স ফিকশন
সাহিত্য প্রতিবেদক.
নতুন প্রজন্মের সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় লেখক নাসিম সাহনিকের নতুন তিনটি সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। অমর একুশে...
রূপায়ন সিটি ও কুপার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
স্টাফ রিপোর্টার.
রূপায়ন সিটি ও কুপার্সের মধ্যে এক বিশেষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় রূপায়ন সিটির গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কুপার্সের পণ্য ক্রয়ে বিশেষ...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৫৪ PMবাণিজ্য মেলায় সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেল মিনিস্টার ইলেকট্রনিক্স
স্টাফ রিপোর্টার.
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় প্রিমিয়ার স্টল ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার পেয়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৫ PMসিটি গ্রুপের নতুন চমক ‘টুটি টুইস্ট’
স্টাফ রিপোর্টার.
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রূপসী ফুডস লিমিটেড, কনফেকশনারি। এটি দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের একটি কনসার্ন। দারুণ ফ্লেভার ও অনন্য স্বাদের জেলি ক্যান্ডি জেলফি দিয়ে...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৩০ PMসিলেটের হাই-টেক পার্কে যাত্রা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার.
সনি-র্যাংগস নামে বহুল পরিচিত বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড তাদের ফ্যাক্টরির শুভ উদ্ভোধন করল হাই-টেক পার্ক,...
এমটিবি বার্ষিক টাউন হল ২০২৫-এ নতুন লোগো উন্মোচন
স্টাফ রিপোর্টার.
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) সম্প্রতি ঢাকার একটি ভেন্যুতে ‘এমটিবি বার্ষিক টাউন হল ২০২৫’ আয়োজন করেছে ‘ নেভিগেটিং চ্যালেঞ্জ, বিল্ডিং ট্রাস্ট’ এই...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:০০ PMডিজিটাল খাতের সেরা পারফরমারদের সম্মাননা দিল রবি’র বিডিঅ্যাপস
স্টাফ রিপোর্টার.
দেশের ডিজিটাল খাতের বিকাশে তরুণ পারফরমারদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রবি আজিয়াটা আয়োজন করেছে ‘বিডি অ্যাপস অ্যাওয়ার্ড নাইট। গত শুক্রবার রবির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৫ PM