রিভেরিয়া ড্রিমস

2025-12-11 06:29:11 সাহিত্য
রিভেরিয়া ড্রিমস

রিভেরিয়া ড্রিমস 

নাসিম সাহনিক  

            ফ্রান্সের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরের নীল জলরাশির ধারে বিস্তৃত শহর— ফ্রেঞ্চ রিভেরিয়া। সূর্য এখানে ওঠে যেন সোনার তুলিতে আঁকা এক দীর্ঘ রেখার মতো। পাহাড়, সমুদ্র আর সুবৃহৎ প্রাসাদগুলো ঘিরে অদ্ভুত শান্ত এক সৌন্দর্য। এখানেই বসবাস শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিম সাননিক।  বাংলাদেশে তাঁর পরিচিতি ছিল বিশাল—হাজারো পাঠক, অসংখ্য দর্শক, এবং নানান বিতর্ক। পেছনে রয়ে গেছে সফল সিনেমা, পুরস্কার, এবং গসিপে ভরা তারকাজীবন। কিন্তু এখানে, রিভেরিয়ার কোলে, নাসিম যেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছিলেন।  গত পাঁচ বছর ধরে তিনি একটি আন্তর্জাতিক লেখালেখির রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে কাজ করছিলেন। পরিকল্পনা ছিল—এখানেই বসে জীবনের সবচেয়ে বড় সিনেমাটি লিখবেন, তারপর বানাবেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বারবার ভেস্তে যেত তাঁর ছন্নছাড়া প্রেমজটিলতায়।  হ্যাঁ, নাসিম প্রেমের মানুষ। প্রেমে পড়েন সহজে—আর বের হতে সময় লাগে অনেক। তার সঙ্গে রিভেরিয়ার দুই নারী—একজন ফরাসি ম্যাডাম লোরা, অন্যজন ভারতীয় তরুণী রিয়া—তাঁর জীবনকে বানিয়ে তুলেছিল আরও গোলমেলে।  এই জটিল জীবনে যেদিন আলো হয়ে ঢুকে পড়ল আরেকজন—এক বাঙালি মেয়ে, নাম তন্বী—সেদিনই শুরু হলো গল্পের আসল যাত্রা।   ---  ১. রিভেরিয়ার সকাল  সকালের আলো নাসিমের ফ্ল্যাটের জানালায় নরমভাবে এসে পড়ে। ফ্ল্যাটটি নিসের কাছেই—ভদ্রঘরের পুরনো পাথরের দেয়াল, সাদা শাটার, আর লেমন-গাছের সুবাস।  ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথম কাজ করেন ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ানো। সমুদ্রের নীল রঙ আর হালকা বাতাস তাঁর মাথা পরিষ্কার করে দেয়। কিন্তু সেই দিন সকালে মাথা মোটেও পরিষ্কার ছিল না—কারণ আগের রাতের ঘটনাগুলো এখনো ঘুরছিল মনে।  লোরা রেগে গিয়েছিল। রিয়া কেঁদেছিল। আর নাসিম দাঁড়িয়ে ছিল মাঝখানে কান্না পাওয়া এক নাবালক ছেলের মতো।  “এই শহরে কি সত্যি আমি সিনেমা বানাতে এসেছি? নাকি ভালোবাসার পাকঘূর্ণিতে পড়ে অস্তিত্বই হারাচ্ছি?”—নাসিম নিজেকে প্রশ্ন করলেন।  মোবাইলে তিনটি মেসেজ।  লোরা লিখেছে— “Don’t call me again. I’m done.”  রিয়া লিখেছে— “আমি জানি তুমি আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসো না… কিন্তু তবুও তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারছি না।” আর তন্বী? তার মেসেজ ছিল মাত্র দু‘টি শব্দ— “Are you okay?” নাসিম বিভ্রান্ত হয়ে তাকিয়ে রইলেন। এই দুই শব্দে যেন একটা নরম হাত বুকের ভিতর দিয়ে স্পর্শ করে গিয়ে বলল—আছে, কেউ আছে যে তোমার ভেতরটা পড়ে। ২. তন্বীর আগমন তন্বী এসেছিল কলকাতা থেকে। বয়স ২৪। অদ্ভুত রকম শান্ত স্বভাব। সে রেসিডেন্সির একটি ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছিল। চলচ্চিত্রে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে এসেছে ফ্রান্সে—কিন্তু টাকা নেই, লোকজন নেই, পরিচয় নেই। তাই প্রথম কয়েকদিনই তন্বী নিজের মতো করে কাজ করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছিল নিজের আত্মবিশ্বাস। ঠিক তখনই নাসিম তাকে প্রথম দেখেন—রেসিডেন্সির লাইব্রেরিতে বসে মেয়েটি কাগজের ওপর স্কেচ করছে, খুব মনোযোগে। তাঁর চোখে পড়েছিল—মেয়েটির চোখ দুটো অদ্ভুত রকম গভীর। যেন কোনো পুরোনো ব্যথা, আবার যেন নতুন কোনো আলো। “বাংলাদেশ থেকে?”—তন্বী জিজ্ঞেস করেছিল। “হ্যাঁ, আর তুমি কলকাতা?”—নাসিম হেসেছিলেন। সেইদিন থেকেই দুজনের কথা বাড়তে থাকে। তন্বী বুঝে ফেলেছিল নাসিম কতটা একা। আর নাসিম বুঝে ফেলেছিলেন এই মেয়েটির মধ্যে আছে অদ্ভুত পরিশুদ্ধতা—যে পরিশুদ্ধতা তিনি বহুদিন দেখেননি। তবে তন্বী খুব ভদ্রভাবে দূরত্ব রেখেছিল। আর নাসিমও জানতেন—এই মেয়েটিকে নিয়ে খেলাধুলা করা যাবে না। এ সম্পূর্ণ অন্যরকম। কিন্তু জীবনের নির্দিষ্ট সময়ে কিছু মানুষ এসে অদ্ভুতভাবে সবকিছু বদলে দেয়। ৩. লোরা—রিভেরিয়ার ঝড় লোরা ছিলেন একজন শিল্পকলা সংগ্রাহক। বয়স ৩৮। শহরের অভিজাত সমাজে তার চাহিদা প্রচুর। চমৎকার রুচিশীল, রোমাঞ্চপ্রবণ, আর নিজের ইচ্ছাপূরণে একদম সোজা পথের মানুষ। নাসিম তাকে প্রথম দেখেন একটি প্রদর্শনীতে। কয়েক সপ্তাহ পর তারা একসঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন, যেটি আসলে দ্রুতই পরিণত হয় এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিল সম্পর্কে। লোরা নাসিমকে ভালোবাসত, কিন্তু তার ভালোবাসা ছিল অধিকারপরায়ণ। নাসিমকে সে চাইত নিজের মতো করে—শুধু তার জন্য। কিন্তু সেটা কখনোই সম্ভব ছিল না, কারণ নাসিম নিজের স্বাধীনতা ছাড়া কিছুই মেনে নিতে পারেন না। এ সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল অস্থিরতা, ঈর্ষা আর অভিমান দিয়ে ভরা। সেই সম্পর্কই আগের রাতে বড় ধাক্কা খায়। লোরা হঠাৎ জানতে পারে—নাসিম নিয়মিত দেখা করছে রিয়ার সঙ্গে।  “Stay away from me, Nasim!”—চিৎকার করে বেরিয়ে গিয়েছিল লোরা। এই ভাঙন নাসিমকে নাড়া দিয়েছিল। কারণ সে জানত—লোরা তাকে ভালোবাসে। কিন্তু সেই ভালোবাসা তাকে গ্রাস করছিল। ৪. রিয়া—ভারতের সূর্যালোক রিয়া—ভারতের দিল্লির মেয়ে। ফ্রান্সে এসেছে মিউজিকোলজি পড়তে। বয়স ২৬। নাসিমের সঙ্গে তার পরিচয় হয় একটি বাংলা-পাঞ্জাবি মিক্স কনসার্টে। রিয়া উচ্ছ্বল, হাসিখুশি, আবেগী। তার সান্নিধ্যে নাসিম নিজের মনের চাপ কমাতে পারত। কিন্তু রিয়া ধীরে ধীরে নাসিমের প্রতি প্রচণ্ড আবেগী হয়ে পড়ে ফেলেছিল। এ সম্পর্কও ছিল স্পষ্টতই অনিরাপদ। নাসিম জানত সে রিয়াকে আঘাত দিচ্ছে—তবুও থামতে পারছিল না। সবকিছু মিলিয়ে তার জীবন ঠিক রিভেরিয়ার উত্তাল ঢেউয়ের মতো—শান্ত নয়, স্থির নয়। ৫. নতুন পথের শুরু তন্বী সেদিন নাসিমকে কফি শপে ডেকে বলল— “আপনি কি সত্যিই ঠিক আছেন?” নাসিম প্রথমে হাসলেন, তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন— “আমি জানি না। আমার জীবনের সবকিছু একসঙ্গে ভেঙে পড়ছে।” তন্বী ধীরে বলল— “সিনেমা লেখা কি শুরু করেছেন?” “না… মাথা একদম কাজ করছে না।” তন্বীর চোখে তখন দৃঢ়তা দেখা গেল। “আপনি পারবেন। আপনি শুধু নিজের ভেতরের গল্পটার দরজা খুলতে পারছেন না।” নাসিম কিছুটা বিস্মিত হলো। “আর সেটা কিভাবে খুলব?” তন্বী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল— “আপনি যা সত্যি সত্যি চান, শুধু সেটা নিয়ে ভাবুন। অন্য কেউ কি ভাবছে, কে কি বলছে—সব ভুলে। আপনি যেদিন নিজের যন্ত্রণা স্বীকার করবেন, সেদিনই গল্প জন্ম নেবে।” এই কথাগুলো নাসিমের ভেতর ঝড় তুলল। আর সেই ঝড়ই তাকে নতুন করে লেখার টেবিলে ফিরিয়ে আনল। ৬. লেখার দিনগুলো পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নাসিমের রুটিন বদলে গেল। রাত জেগে লিখতেন, সকালে সমুদ্রের ধারে হাঁটতেন। তন্বী মাঝে মাঝে এসে গল্প পড়ত, পরামর্শ দিত। কিন্তু সম্পর্কটাকে সে সবসময় খুব পেশাদার রেখেছিল। নাসিম লক্ষ্য করলেন—তন্বী তাকে কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই সাহায্য করছে। এতদিন যে ঘূর্ণাবর্তে ডুবে ছিলেন, হঠাৎ যেন সেই আবর্তটা থেমে গেল। লোরা একদিন ফোন করেছিল, কিন্তু নাসিম রিসিভ করেনি। রিয়া মেসেজ করেছিল—“একবার দেখা করতে চাই।” কিন্তু নাসিম লিখল—“Right now, I need space.” এ প্রথমবার সে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিল।     ৭. তন্বীর গোপন伤 এক সন্ধ্যায় তন্বী চুপ করে বসে ছিল নাসিমের সাথে সিঁড়ির ধাপটিতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন— “তোমার পরিবার কি তোমাকে সমর্থন করে? এখানে আসা… এই কঠিন স্বপ্ন?” তন্বী একটু হেসে বলল— “আমার মা আছে, বাবা নেই। মায়ের স্বপ্ন ছিল আমি শিক্ষক হব। কিন্তু আমি সিনেমা চাই। মা রাগ করেন না, কিন্তু ভয় পান—যদি ব্যর্থ হই।” “তোমার কি ভয় লাগে ব্যর্থতার?” তন্বী ধীরে বলল— “ভয় লাগে। আবার লাগে না। কারণ ব্যর্থ হলেও আমি জানব—আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো চেষ্টা না করলে সারাজীবন আফসোস থাকবে।” নাসিম অনুভব করলেন—এই মেয়েটির সাহস তাকে নতুন করে শক্তি দিচ্ছে। ৮. ক্লাইম্যাক্স—প্যারাডিসো স্কয়ারে ঝড় ফেব্রুয়ারির এক বিকেলে, নিসে অনুষ্ঠিত একটি বড় শিল্পানুষ্ঠানে নাসিমকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তন্বীও ছিল তার সঙ্গে। অনুষ্ঠানের মাঝখানে হঠাৎ লোরা উপস্থিত হয়। তার চোখে স্পষ্ট রাগ। “তুমি আমাকে এভাবে ব্লক করে রাখবে?”—লোরা তীব্র কণ্ঠে বলল। নাসিম বলল—“This is not the place—” কিন্তু লোরা থামল না। “Who is she? তুমি আবার নতুন মেয়ের সঙ্গে এসেছ? How dare you!” মানুষজন তাকাতে শুরু করল। তন্বীর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। এমন সময় রিয়াও হাজির— “নাসিম? তুমি আমাকে কেন এড়িয়ে যাচ্ছ?” দুই নারী, দুই দিক থেকে। আর মাঝখানে এক অসহায় মানুষ—নাসিম। পরিস্থিতি তন্বী আর সহ্য করতে পারল না। সে ধীরে বলল— “আমি সিনেমার ইন্টার্ন। আমি কোনো সম্পর্কেই নেই। আপনারা অকারণে আমাকে অপমান করছেন।” লোরা কঠিন চোখে তাকাল— “Well, he always finds someone new.” এই কথাটি তন্বীর বুক ভেদ করে গেল। সে নাসিমের দিকে তাকিয়ে দেখল—তিনি নির্বাক। তন্বী বলল— “আমি কালই রেসিডেন্সি ছেড়ে যাব।” বলেই সে চলে গেল। আর সেই রাত নাসিম জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ রাত। ৯. সত্যিকারের উপলব্ধি ভোরে নাসিম তন্বীর হোস্টেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। তন্বী নিচে নেমে এল। “আমি চলে যাচ্ছি, নাসিমদা,” সে বলল। “দয়া করে যেও না। তুমি আমার ওপর রাগ করছ?” তন্বী শান্তভাবে বলল— “রাগ করছি না। তবে কিছু মানুষকে বাঁচানোর দায়িত্ব তাদের নিজেদের। আপনি নিজের ভেতরের বিশৃঙ্খলা সামলাতে পারছেন না। সেই বিশৃঙ্খলার বিস্ফোরণ অন্যের ওপর পড়ছে। আমি সেটা নিতে পারছি না।” নাসিমের বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। “আমি কি তোমাকে হারালাম?” তন্বী বলল— “আপনি কাউকে হারাননি… কারণ আমি আপনার ছিলামই না। তবে আপনি যদি সত্যি বদলাতে চান—আপনি পারবেন। আর আপনাকে সেই শক্তিটা নিয়ে লিখতে হবে। আপনার গল্প… আপনার সিনেমা… সেখানেই আছে সত্যিকারের মুক্তি।” নাসিম অনুভব করলেন—এটাই তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত। তিনি বললেন— “আমি আমার জীবন নতুন করে সাজাব। আর তুমি থাকো। আমাকে আরেকবার সুযোগ দাও—নিজেকে মানুষ হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ।” তন্বী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল— “তাহলে আগে প্রমাণ করুন আপনি সত্যি বদলাচ্ছেন। আমি যাব না। কিন্তু দূরত্ব রাখব—যতক্ষণ না আপনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছেন।” নাসিম মাথা নোয়াল—এটাই তার প্রাপ্য। ১০. নতুন জন্ম পরের মাসে নাসিম নিজের জীবনের সমস্ত বিশৃঙ্খল সম্পর্ক গুছিয়ে ফেলল। লোরাকে বলল—এ সম্পর্ক চালানো সম্ভব নয়। রিয়ার সাথেও স্পষ্ট কথা বলল—বন্ধুত্ব থাকবে, অতিরিক্ত কিছু নয়। এদিকে তন্বী তার জীবনে আগের মতো নেই, কিন্তু পরামর্শদাতা হিসেবে আছে। নাসিমের সিনেমার স্ক্রিপ্ট ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ হচ্ছে। এটির নাম—“Riviera Dreams” গল্প একজন মানুষকে নিয়ে—যার জীবন এলোমেলো ছিল, কিন্তু একদিন তিনি নিজের সত্যিকারের স্বপ্ন খুঁজে পান। ঠিক যেমনটা নাসিমের নিজের জীবন। রিভেরিয়া ফিল্ম মিশনের পরিচালক স্ক্রিপ্ট পড়ে বললেন— “This is powerful. We want to produce it.” নাসিমের চোখ ভিজে উঠল। স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। ১১. সূর্যের পথে দুজন শুটিং শুরুর আগের সন্ধ্যায় নাসিম তন্বীকে সমুদ্রের ধারে ডাকল। তাদের সামনে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ নিরবচ্ছিন্নভাবে আছড়ে পড়ছে। নাসিম বলল— “তন্বী… আমি বদলানোর চেষ্টা করেছি। আর তুমি আমাকে পথ দেখিয়েছ।” তন্বী নরমভাবে বলল— “আমি শুধু আপনার চোখ খুলে দিয়েছি। পথ আপনিই হেঁটে এসেছেন।” নাসিম তার দিকে তাকাল— “এখন তোমাকে কি বলতে পারি জানো?” তন্বী হেসে বলল— “কি?” “আমি চাই তুমি আমার জীবনের অংশ হও। সম্পর্কের জটিলতা ছাড়া—স্বচ্ছ, সত্যি ও স্নিগ্ধ একটি সম্পর্ক।” তন্বী সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বলল— “আচ্ছা, এবার পারি। কারণ এখন আপনি সত্যিই একজন পরিণত মানুষ।” এবং তন্বী তার হাত নাসিমের হাতের ওপর রাখল। রিভেরিয়ার বাতাস বয়ে গেল তাদের চারপাশে— একটি নতুন গল্পের শুরু ঘোষণা করে। ১২. রিভেরিয়া ড্রিমস—শেষ দৃশ্য সিনেমার শুটিং চলে কয়েক মাস। তন্বী সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে। ফ্রান্স, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়। প্রিমিয়ারের দিন—লোরা, রিয়া—অনেকেই উপস্থিত। সবাই বিস্ময়ে দেখল—নাসিম তৈরি করেছে এক মাস্টারপিস। গল্পের শেষে লেখা ওঠে— “Dedicated to the one who helped me find myself.”  তন্বী হাত শক্ত করে চেপে ধরল নাসিমের হাত। নাসিম তাকাল তার দিকে—চোখ ভরা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা নিয়ে। রিভেরিয়ার আকাশে সেদিন ছিল অদ্ভুত শান্ত নীলাভ চাঁদ। এবং দুই সৃষ্টিশীল মানুষের সামনে খুলে গেল নতুন জীবনের দরজা।

সম্পর্কিত আরো খবর  
img
বিস্তারিত পড়ুন >

২০২৫ সালের ১০টি উল্লেখযোগ্য ফরাসি চলচ্চিত্র

নাসিম আহমেদ 

নিচে ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বা আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত ১০টি সবচেয়ে চিন্তাশীল ও প্রভাবশালী ফরাসি চলচ্চিত্রের তালিকা দেওয়া হলো — প্রতিটির সংক্ষিপ্ত কাহিনি, থিম...

১৪ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
img
বিস্তারিত পড়ুন >

২০২৫ — ফরাসি সিনেমায় নতুন ভাবনায় এক যাত্রা

নাসিম আহমেদ.

 ২০২৫ সাল ফরাসি সিনেমার জন্য একটি উত্সাহী ও পরিপ্রেক্ষিতগত বছর। ক্লাসিক সাহিত্য থেকে আধুনিক সামাজিক বিষয়, পারিবারিক সংকট থেকে একান্ত ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ যাত্রা — এখানে...

১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
img
বিস্তারিত পড়ুন >

প্যারিস : ইতিহাস, সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন

অনলাইন ডেস্ক. 

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস বিশ্বজুড়ে পরিচিত “City of Light” বা “আলোক নগরী” হিসেবে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, স্থাপত্য, ফ্যাশন এবং রোমান্স—এই সবকিছুর মিলনে প্যারিস এক অনন্য...

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৭ AM

img
বিস্তারিত পড়ুন >

লুভর মিউজিয়াম: শিল্প, ইতিহাস ও সভ্যতার মহাগ্রন্থ

অনলাইন ডেস্ক. 

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিল্প জাদুঘর বলতে হলে নিঃসন্দেহে প্রথমেই যে স্থানের নাম উঠে আসে তা হলো ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের লুভর মিউজিয়াম। এটি শুধু একটি জাদুঘর নয়—এটি...

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:১৮ AM
img
বিস্তারিত পড়ুন >

ফরাসি সাহিত্য: ইতিহাস, ধারা ও বিশ্বসাহিত্যে এর প্রভাব

অনলাইন ডেস্ক.

ফরাসি সাহিত্য বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ, বৈচিত্র্যময় এবং প্রভাবশালী সাহিত্যধারা। মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত ফরাসি ভাষা ও ফরাসি চিন্তাধারা শুধু ইউরোপকেই নয়,...

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০২:৫৯ AM
আপনি আরো পড়তে পারেন  
img
বিস্তারিত পড়ুন >

২০২৫ সালের ১০টি উল্লেখযোগ্য ফরাসি চলচ্চিত্র

নাসিম আহমেদ 

নিচে ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বা আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত ১০টি সবচেয়ে চিন্তাশীল ও প্রভাবশালী ফরাসি চলচ্চিত্রের তালিকা দেওয়া হলো — প্রতিটির সংক্ষিপ্ত কাহিনি, থিম...

১৪ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
img
বিস্তারিত পড়ুন >

২০২৫ — ফরাসি সিনেমায় নতুন ভাবনায় এক যাত্রা

নাসিম আহমেদ.

 ২০২৫ সাল ফরাসি সিনেমার জন্য একটি উত্সাহী ও পরিপ্রেক্ষিতগত বছর। ক্লাসিক সাহিত্য থেকে আধুনিক সামাজিক বিষয়, পারিবারিক সংকট থেকে একান্ত ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ যাত্রা — এখানে...

১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
img
বিস্তারিত পড়ুন >

নতুন বিজ্ঞাপনের শুটিং করলেন নির্মাতা নাসিম সাহনিক

স্টাফ রিপোর্টার। 

গোয়েন্দাগিরিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিম সাহনিক আবার ক্যামেরা হাতে নিয়ে শুটিং এ নামলেন। তিনি একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের শুটিং করলেন মিরপুর এক এর কম্বাইন্ড...

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:১৬ AM

img
বিস্তারিত পড়ুন >

শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’

স্টাফ রিপোর্টার.

শীত উপলক্ষে সারা দেশে শুরু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩’। আগের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও মার্সেল পণ্যের...

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:২৩ AM
img
বিস্তারিত পড়ুন >

সোহানা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।

 দেশের ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে উদ্যোক্তা ও সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যতিক্রমী অবদানকে স্বীকৃতি দিতে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত সোহানা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস...

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:১৭ AM
পৃষ্ঠাসমূহ